একসময় এক বলে এক কাঠুরে ছিল। তিনি বনের কাঠ কেটে বাজারে বিক্রি করতো এবং তাই দিয়ে তিনি পয়সা উপার্জন করতেন। একদিন নদীর ধারে একটি গাছে কাঠ কাটার সময় তার কুড়ালটি নদীর জলের মধ্যে পড়ে যায়। নদীটিতে স্রোত থাকার কারণে সে অনেক খোঁজার পরও কুড়ালটি পায়নি এবং সে মনের দুঃখে নদীর ধারে বসে কাঁদতে থাকে।
কাঠুরির দুঃখ দেখে নদী দেবতা জল থেকে উঠে আসে এবং তাকে জিজ্ঞাসা করে তার দুঃখের কারণ কি?। তখন কাঠুরি সমস্ত ঘটনা নদী দেবতার সামনে বর্ণনা করে। তার কঠোর পরিশ্রম ও সত্যতা দেখে নদী দেবতা অদৃশ্য হয়ে যায় এবং একটি সোনার কুড়াল নিয়ে এসে তাকে জিজ্ঞাসা করে যে এটা তার নাকি?।
কাঠুরি বলে না এটা তার কুড়াল না। নদী দেবতা আবারও অদৃশ্য হয়ে যায় এবং একটি রূপার কুড়াল নিয়ে আসে। কাঠুরি আবারো বলে যে এটি তার কুড়াল নয়। নদী দেবতা আবারো অদৃশ্য হয়ে যায় এবং একটি লোহার কুড়াল নিয়ে আসে। এবার কাঠুরী বলে যে হ্যাঁ এটাই তার কুড়াল।
কাঠুরের এই সত্যতা দেখে নদী দেবতা মুগ্ধ হয়ে তাকে সোনা ও রুপা দুটি কুড়ালই উপহার দেয়।