আমরা সবাই জানি, গান্ধীজীর সম্পূর্ণ নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। গান্ধীজী অর্থাৎ মোহনদাসের বয়স তখন ১৪ বছর। তিনি গুজরাটের রাজকোটে একটি স্কুলে পড়তেন। একদিন শিক্ষা দপ্তরের কিছু আধিকারিক স্কুল পরিদর্শন করতে আসেন।
শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা মোহনদাসের ক্লাসরুমে ঢুকে বোর্ডে কিছু শব্দ লেখেন। যেগুলিকে ইংরেজি ভাষায় লিখতে বলা হয় সমস্ত ছাত্রদেরকে। কিন্তু মোহন দাস একটি বানান ভুল করে ফেলেন। তাকে ক্লাস রুমে থাকা শিক্ষক সামনের বন্ধুর কাছ থেকে লেখাটি দেখে নেওয়ার ইশারা করেন। কিন্তু মোহন দাস তা করেননি।
ফলে ক্লাস রুমে থাকা সমস্ত ছাত্রদের উত্তর সঠিক হয়, কিন্তু মোহন দাসের একটি বানান ভুল হয়ে যায়। শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর ক্লাস রুমে থাকা শিক্ষক মোহনদাসকে বলে, “তুমি বড় বোকা মোহনদাস আমি তোমাকে সামনের ছেলেটির কাছ থেকে বানানটি কপি করে সংশোধন করতে বলেছিলাম। কিন্তু তুমি সেটাতে মনোযোগ দাওনি।”
নীতিকথা
মানুষের চরিত্রই তাকে মহান করে তোলে।