একটি গ্রামে এক কাঠমিস্ত্রি থাকতো সে রোজ বনের মধ্যে কাঠ আনার জন্য যেত। যে কাঠ আনার পর সে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করত এবং হাটে গিয়ে বিক্রি করতো। এভাবেই তার সংসার চলে যেত।
একদিন কাঠমিস্ত্রি বনের মধ্যে গেল এবং সে একটি শিয়ালকে দেখতে পেল কিন্তু তার পা ভাঙ্গা ছিল। কাঠমিস্ত্রি চিন্তা করল এই শিয়ালটা হাঁটতে পারে না, দৌড়াতে পারে না তবে কি করে এই বনের মধ্যে বেঁচে আছে? কি করে সে খাবার পাচ্ছে?।
সে মনস্থির করল সে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখবে কিভাবে শিয়ালটি খাবার খায়। এবার সে শিয়ালের পিছু নিল এবং একটি গাছের উপরে গিয়ে বসলো। তখন সে দেখতে পায় একটি সিংহ শিকার করে এনেছে এবং খাওয়া দাওয়া শেষ করার পরে যে অবশিষ্ট খাবার বেঁচে আছে সেটা ওই শিয়ালটি এসে খেতে শুরু করল। তখন সে বুঝতে পারল এই শিয়ালটি কিভাবে খাবার পাচ্ছে।
কিন্তু কাঠমিস্ত্রির রাগ হল সে চিন্তা করলো ওই শিয়ালটি কোন কষ্ট না করে বসে বসে খাবার খাচ্ছে। সে তখন ভাবলো আমি এই গাছের তলায় বসে থাকবো দেখি আমাকে কে খাবার দিয়ে যায়। কিন্তু দিনের পর দিন চলে যায় কেউ কাঠমিস্ত্রির জন্য খাবার নিয়ে আসে না।
কাঠমিস্ত্রি খুব খিদে পায় এবং সে হাঁটতে পারছিল না। হঠাৎ সে একটা আওয়াজ শুনতে পায় কেউ যেন তাকে বলছে, “ওরে মূর্খ আপনি কেবল ওই শিয়ালটি কে দেখতে পাচ্ছেন। কর্মরত ওই সিংহটিকে দেখতে পেলেন না। যে নিজে কষ্ট করে খাবার এনে খাচ্ছে। যদি অনুসরণ করতেই হয় তবে সিংহটিকে অনুসরণ করছেন না কেন?। সিংহটির নিজের পেটে ভরছে ও অন্যের পেট ভরতে সাহায্য করছে।
এই কথা শুনে কাঠ মিস্ত্রি তার ভুল বুঝতে পারল।
নীতিকথা
পরিশ্রম ছাড়া এই জগতে কোন কিছুই পাওয়া যায় না।