শেকলে বাধা হাতি


একদা এক বাচ্চা ছেলে তার বাবার কাছে বায়না ধরলো সে সার্কাস দেখতে যাবে। বাবা তাকে সার্কাস দেখাতে নিয়ে গেলেন। সার্কাস শুরুর আগে বাবা তার ছেলেকে সার্কাসের তাবুর বাইরে রাখা বিভিন্ন পশু পাখির খাঁচার সামনে দিয়ে ঘুরিয়ে পশুপাখি দেখাচ্ছিলেন। দেখতে দেখতে তারা হাতির সামনে চলে আসলো। তারা দেখতে পেল হাতিটি খাঁচায় বন্দী করে রাখার বদলে একটি চিকন শিকল দিয়ে পায়ে বাধা আছে, যেটি হাতি চাইলেই ছিড়ে পালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো হাতিটি সে চেষ্টাই করছেনা।

এটি দেখে ছেলে খুব অবাক হলো এবং তার বাবাকে এর কারন জিজ্ঞাসা করলো। বাবা হাতির মাহুতকে(রক্ষণাবেক্ষণকারী) ডেকে এর কারন জিজ্ঞাসা করলেন। হাতির মাহুত উত্তর দিল – যখন এই হাতি গুলো অনেক ছোট ছিল, তখন আমরা তাদের এই সাইজের শিকল দিয়েই বেধে রাখতাম। সে সময় তারা তা ছেঁড়ার অনেক চেষ্টা করতো এবং ব্যার্থ হতো। সে বয়সে এই শিকল তাদের আটকে রাখার জন্য যথেষ্ট ছিল। এ অবস্থায় যখন তারা বড় হতে থাকে তারা বিশ্বাস করে নেয় যে এই শিকল ছেঁড়া কখনোই সম্ভব নয়। তাই এখন তারা এই শেকল এর চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হলেও তাদের বিশ্বস এর কাছে তারা বাধা পরে আছে এবং তা ছিঁড়তে চেষ্টা করেনা।

গল্পের অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষাঃ

সফল হওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ হলো এটি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা যে আপনি সফল হবেন। বাধা যতই আটকে রাখতে চেষ্টা করুক, সফলতার বিশ্বাস মনে নিয়ে নিজের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *