হাতি ও কুকুরের গল্প


একসময় এক রাজার এক হাতি ছিল। হাতিটি একটি ঘাসের ডিপির উপর ঘুরছিল। সে সবসময় সেখানে থাকতেই ভালোবাসে। একদিন হাতিটি একটি ক্ষুধার্ত আওয়াজ শুনতে পেল। সেই আওয়াজটি ছিল একটি কুকুরের যে অবশিষ্ট খাবার খুঁজে খুঁজে খাচ্ছিল। কুকুরটিও ওই ঘাসের ডিপির কাছাকাছি এসে শুয়ে থাকতো। এভাবে শীঘ্রই রাজকীয় হাতিটি ও কুকুরটির মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠলো এবং তারা একসঙ্গে খেলতো।

রাজকীয় হাতিটির একটি রক্ষী ছিল যে হাতি টিকে দেখাশুনা করতো। একদিন একটি শোক ঘাসের ডিপির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, সেই কুকুরটিকে দেখে এবং রক্ষীকে জিজ্ঞাসা করে সে কুকুর টিকে নিতে পারে কিনা?। যেহেতু কুকুরটি রাজবাড়ীর অন্তর্গত ছিল না সেই কারণে রক্ষী কুকুরটিকে দিতে রাজি হয়ে যায়। এরপর দিন হাতিটি তার কুকুর বন্ধুটিকে খুঁজে না পেয়ে দুঃখে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। এমনকি সে চলাফেরাও বন্ধ করে দেয়, শুধু ডিপির উপর শুয়ে থাকে।

একদিন রাজা তার হাতির টিকে দেখতে আসে এবং এসে দেখেন যে হাতেটি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে কিছু খাচ্ছে না চুপচাপ শুয়ে আছে। রাজা রাজবাড়ীর বৈদ্য কে ডেকে নিয়ে আসে হাতিটির চিকিৎসা করার জন্য। রাজ বৈদ্য রাজাকে বলে যে, হাতিটির কোন শারীরিক সমস্যা হয়নি মনে হচ্ছে সে তার কোন বন্ধুকে হারিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে রাজা হাতির রক্ষীকে ডেকে পাঠায় এবং পূর্বের ঘটনা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে। রক্ষী বলে যে হাতিটির সঙ্গে একটি কুকুর থাকতো যাকে তিনি একটা কৃষককে দিয়ে দিয়েছেন।

রাজা তৎক্ষণাৎ সেই কুকুরটিকে ফিরিয়ে আনার হুকুম দেন। কুকুরটি ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুর দিকে তাকিয়ে হাতিটি লাফিয়ে ওঠে এবং খেলতে শুরু করে। তাদের বন্ধুত্ব আরো গভীর হয়ে ওঠে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *