হাত ঘড়ি


এক ব্যক্তি তার বাড়ির পেছনের প্রশস্ত গোলাঘরে হাতঘড়ি হারিয়ে ফেললো। ওটা কোনো সাধারণ ঘড়ি নয়, মৃতা স্ত্রীর রেখে যাওয়া স্মৃতি। অনেক বছর আগে কোনো এক বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রী উপহার দিয়েছিল।

সারাদিন ভর অনেক খোজাখুজির পর ক্লান্ত হয়ে লোকটি হাল ছেড়ে দিল। গোলাঘরের পাশেই কিছু ছোট বাচ্চা খেলা করছিল, লোকটি ওদের ডেকে ঘড়িটি খুজে দিতে সাহায্য করতে বলল। যে পাবে তাকে পুরষ্কার দেবার ঘোষণাও দিল।

পুরষ্কারের কথা শুনে ছোট বাচ্চা গুলো দল বেধে গোলাঘরের মধ্যে ঢুকে খোজাখুজি আরম্ভ করে দিল, কিন্তু অনেকক্ষণ খোজাখুজির পরও বাচ্চাগুলো ব্যর্থ হল। লোকটি হাল ছেড়ে দিতে যাবে এমন ছোট একটি ছেলে এসে আরেকবার খোজার অনুমতি চাইলো।

ছেলেটির আন্তরিকতা দেখে লোকটি অনুমতি দিল। কিছুক্ষণ পর ছেলেটি হাতে ঘড়ি নিয়ে গোলাঘর থেকে বেরিয়ে এলো। সাধের ঘড়িটি হাতে পেয়ে লোকটি আনন্দে কেঁদে ফেললো। কিছুক্ষণ পর নিজেকে সামলে লোকটি ছোট বাচ্চাটিকে জিজ্ঞাসা করলো সবাই যেখানে ব্যর্থ হয়েছে সেখানে ও কিভাবে এত অল্প সময়ের মধ্যে সফল হলো! ছেলেটি উত্তর দিল, ‘আমি তেমন কিছুই করিনি। গোলাঘরে ঢুকে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর সবকিছু নীরব হয়ে গেলে ঘড়িটার টিকটিক আওয়াজ শুনে কিছুক্ষণ খুজতেই পেয়ে গেলাম!’

অস্থির এবং অশান্ত মনের চেয়ে স্থির এবং শান্ত মনের ক্ষমতা এবং কার্যকারীতা অনেক বেশি। জীবনের সংকটময় মূহুর্তগুলোতে অশান্ত এবং অস্থির না হয়ে কিছুক্ষণ স্থির হয়ে বসে মনটাকে শান্ত এবং স্থির করুন, সংকট থেকে উত্তরণের জন্য উপায় পেয়ে যাবার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে বহুগুণে। প্রতিদিন কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখুন, এ সময়টা নিরিবিলি থাকুন এবং শান্ত মনে ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং বর্তমানের সমস্যা গুলো নিয়ে চিন্তা করুন, ফলাফল দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *