অনেকদিন আগে এক সময় একটি গ্রামে একটি রাখাল বালক ছিল। যে গ্রামের সমস্ত ভেড়া ছড়াতে নিয়ে যেত পাশের একটি পাহাড়ে। একদিন সে চিৎকার করে উঠলো “নেকড়ে, নেকড়ে, নেকড়ে বাঘ ভেড়া কে তাড়া করেছে”।
তার চিৎকার শুনে সকল গ্রামবাসী নেকরেটিকে তাড়াতাড়ি ছুটে আসে। কিন্তু তারা সেখানে এসে কোন নেকড়ে বাঘ দেখতে পায় না। তারা সকলে রাগী হয় এবং যা দেখে ছেলেটি খুব খুশি হয়। তাকে সতর্ক করে সে যেন এরকম না করে আর।
পরে অন্যদিন আবারো তার বিনোদনের জন্য ছেলেটি চিৎকার করতে শুরু করে “নেকড়ে, নেকড়ে, নেকড়ে ভেড়াকে তাড়া করেছে”। এবার গ্রামবাসীরা ভাবল হয়তো এবার সত্যি সত্যি নেকড়ে বাঘ এসেছে। কিন্তু তারা পাহাড়ে এসে দেখতে পেল কোন নেকড়ে বাঘ নেই। তারা রাখাল বালককে কঠোরভাবে সতর্ক করলো, সে যেন দ্বিতীয়বার এরকমটা না করে। গ্রামবাসীরা চলে যেতেই রাখাল বালক আসতে লাগলো।
কিন্তু এবার এমন একদিন আসলো যখন সত্যি সত্যি নেকড়ে বাঘ ভেড়াগুলিকে তাড়া করল তখন রাখাল বালক তার সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকার করতে শুরু করল নেকড়ে “নেকড়ে, নেকড়ে, বাঘ এসেছে”। কিন্তু এবার কোন গ্রামবাসী তার কথায় কান দিল না তারা ভাবলো এবারও সে মজা করছে।
বিকেল বেলায় যখন রাখাল বালক ভেড়াগুলিকে নিয়ে গ্রামে ফিরে আসলো না তখন গ্রামবাসীরা তাকে খুঁজতে পাহাড়ে গেল। তারা দেখতে পেল রাখাল বালক বসে বসে কান্না করছে কিন্তু সেখানে কোনো ভেড়া নেই। রাখাল বালক বললো “আমি চিৎকার করে বললাম ‘নেকড়ে’ কিন্তু তোমরা কেউ এলেনা”।
ওই সময় গ্রামের এক বৃদ্ধ লোক ছেলেটিকে সান্তনা দিয়ে বলল “মিথ্যাবাদী কে কেউ বিশ্বাস করে না। যদি সে কখনো সত্য কথা বলেও থাকে”। এখন ছেলেটা তার ভুল বুঝতে পেরেছে এবং সেটা কর্মের জন্য অনুতপ্ত।
নীতিকথা
সব সময় সত্য কথা বলবেন, কারণ বিশ্বাস একবার ভেঙ্গে গেলে কেউ আপনাকে বিশ্বাস করবে না।