এক গ্রামের এক কৃষক ছিলেন। তিনি চাষাবাদ করতেন এবং তাই দিয়ে সংসার চালাতেন তার একটি ছোট্ট ছেলে ছিল ও তার বাড়িতে একটি ঘোড়া ছিল। একদিন ওই ঘোড়াটি বাড়ি থেকে গায়েব হয়ে যায়।
কৃষক কি বুঝতে পারছিল না তার ঘোড়া কোথায় গেল। প্রতিবেশীরা অনেকেই বলছিল তার ঘোড়াটি দড়ি খুলে বনের দিকে চলে গেছে। কিন্তু কৃষক মন খারাপ করলো না সে সবসময় বলতো ভগবান যা করে মঙ্গলের জন্যই করে। এটা শুনে তার প্রতিবেশীরা কিছুটা অবাক হল।
একদিন ঘোড়াটি বনের থেকে ফিরে আসলো কিন্তু তার সাথে আরো দুটো ঘোড়া ছিল। এটা দেখে প্রতিবেশীরা খুব খুশি হলেন কিন্তু কৃষকের কোন প্রতিক্রিয়া ছিল না।
একদিন কৃষকের ছেলে একটি বন্য ঘোড়ার পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল হঠাৎ সে পড়ে যায় এবং তার বা ভেঙে যায়। কিন্তু কৃষক তখনো শান্ত ছিল।
এরপর একদিন প্রদেশের রাজার লোক ওই গ্রামে আসে। তারা গ্রামের সমস্ত ছেলেদের নিয়ে যাচ্ছিল যোদ্ধা তৈরি করবে বলে। কিন্তু কৃষকের ছেলেকে নিল না কারণ তার পা ভেঙে গিয়েছিল।
গল্পের মূল বক্তব্য এটাই যে, আমরা কেউ জানিনা আমাদের জন্য কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ তাই ঈশ্বর যা করেন আমাদের মঙ্গলের জন্যই করেন।
নীতিকথা
প্রকৃতির সিদ্ধান্ত সর্বদা উদারভাবে গ্রহণ করা উচিত।