সিনডারেলা


ছোটবেলায় কে না পড়েছি সিনডারেলার গল্প। যদিও বিভিন্ন দেশে এই গল্পের কাহিনীর বিভিন্নতা রয়েছে আর তা প্রায় পনেরশ রকম। আমাদের চিরচেনা সিনডারেলার গল্পটি মূলত রচিত হয়েছে সতের শতকের মাঝামাঝি সময়ে। পরবর্তীতে এই গল্পটি নিয়ে তৈরি হয়েছে কার্টুন এবং সিনেমা। সিনডারেলা সেই যে পরিশ্রমী মেয়েটা, যার আপন বলতে কেউ ছিল না পৃথিবীতে। সৎ মা আর সৎ বোনেরা তাকে দিয়ে সারাদিন শুধু কাজই করাতো। কিন্তু মেয়েটি যেমন ছিল সুন্দরী, তেমনি ছিল লক্ষী। তার মনটা ছিল ফুলের মতই কোমল। তাই তো তার বন্ধু ছিল পাখি, ইঁদুর আর ঘোড়া। এভাবেই কাটছিল তার দিন।

একদিন তার জীবনে একটি সুযোগ এলো। রাজপুত্রের জন্য সারা রাজ্যজুড়ে খোঁজা হচ্ছে মেয়ে। তাই রাজ্যের সকল মেয়ের ডাক পড়লো রাজপ্রাসাদে। কিন্তু সিনডারেলার যে একটি সুন্দর জামাও নেই! অনেক বুদ্ধি করে সে তার পুরনো নাচের ড্রেস টাই রিপু করে পরে তৈরি হয়ে নিল রাজপ্রসাদে যাওয়ার জন্য। সৎ মা আর বোনেরা নানানভাবে তাকে বাধা দিল। কিন্তু শেষমেশ জাদুর বুড়ির সাহায্যে সব বিপত্তি পেরিয়ে সে পৌঁছালো রাজপ্রাসাদে আর জয় করে নিল রাজপুত্রের মন।

কিন্তু এখানেও ঘটলো বিপত্তি। রাজপুত্র কাছে পেয়েও হারিয়ে ফেললো সিনডারেলাকে। কারণ জাদুর বুড়ি যে তাকে রাত বারোটা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু তার কাঁচের একপাটি জুতা দিয়ে পরে রাজপুত্র খুঁজে পেলেন সিনডারেলার সন্ধান। এভাবেই লক্ষী মেয়ে সিনডারেলা পেল নতুন জীবন। হাজার বছর ধরে গোটা পৃথিবীতে সিনডারেলার এই গল্প মানুষের মুখে মুখে। যেমন প্রাচীন মিশর ও চীনে এই গল্পটি ভিন্নভাবে প্রচলিত।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *