একবার বীরবরলকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে অন্য একটি রাজ্যে পাঠানো হল।সেই রাজ্যের রাজাও বীরবলের তীক্ষ্ণ বুদ্ধির ব্যাপারে অনেক গল্প শুোলছিলেন এবং তিনিও চাইলেন তাঁকে এ ব্যাপারে পরীক্ষা করতে। সেখানকার রাজামশাই তখন তাঁর দরবারের সকল মন্ত্রীদের তাঁর নিজের মতই একই রকম পোশাক পরিয়ে একই সারিতে বসালেন বীরবলের বুদ্ধির পরীক্ষা নিতে।যখন বীরবল সেই সভা কক্ষে এসে প্রবেশ করলেন, সেখানে তিনি সকলকেই একই রকম পোশাক পরে এবং একই রকম সিংহাসনে একইরকম ভাবে বসে থাকতে দেখে চকিত হয়ে উঠলেন।কিংকর্তব্যবিমূঢ় বীরবল তখন খানিক্ষন ধরে তাদের প্রত্যেকের দিকে তাকিয়ে থাকলেন এবং তাদের মধ্যে একজনের কাছে গিয়ে তার সামনে মাথা নত করলেন। ইনিই ছিলেন স্বয়ং রাজামশাই, যিনি এতটাই অবাক হয়ে গেলেন যে আর কোনও শব্দই খুঁজে পেলেন না বলার মত। তিনি উঠে দাঁড়ালেন এবং বীরবলকে জড়িয়ে ধরলেন এবং আরো জিজ্ঞাসা করলেন যে তিনি কি করে তাদের মধ্যে প্রকৃত রাজাকে অনুধাবন করে বের করলেন।তখন বীরবল হেসে উত্তর দিলেন যে, “হে প্রভু! যে ধরনের আত্মবিশ্বাস আপনার মধ্যে প্রদর্শিত হচ্ছিল তা আর কারুর মধ্যে ছিল না এবং তাছাড়াও তাদের দৃষ্টি ছিল রাজা মশাই আপনার দিকে আপনার সমর্থনের জন্য“।রাজামশাই খুশিতে আহ্লাদিত হয়ে উঠলেন এবং বীরবলের অতুলনীয় প্রত্যুৎপন্নমতি এবং উপস্থিত বুদ্ধির অনেক প্রশংসা করলেন।
নীতিকথা
বুদ্ধিমান মানুষেরা কোন কিছুর দিকে তাকিয়েই অনেক কিছু বুঝে যান এবং দারুণভাবে বলে দিতে পারেন।